শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নে কারিতাস এনজিও একটি শাখা অফিস গড়ে ওঠে। নিয়োগের মাধ্যমে ওয়ার্ড পর্যায়ে দু’জন করে নারী পুরুষ নিয়োগ দেওয়া হয়।
চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই চাকরি ছেড়ে চলে যায় অনেক কর্মী। এবার মাসূমার পালা কর্মরত কর্মীকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনজিওর প্রোজেক্ট ম্যানেজার মোঃ জহির ও সুপারভাইজার লিটন এর উপর।
অভিযোগ কারিনী মাসূমা বলেন,চাকরির কয়েক মাস পরপরই প্রোজেক্ট ম্যানেজার আমাকে বেশি বেতনে চাকরি দিবে এধরণের নানান রকমের কথা বলতেন। গত ২/০৭/২৪ ইং তারিখ সকালে অফিসে আমার পারিবারিক সমস্যার কথা ম্যানেজার কাছে বললে ম্যানেজার জহির বলেন অনত্র বেশি বেতন চাকরি দিয়ে দিব” চাকরি থাকা অবস্থায় আর একটা চাকরি করা যায় না।
তখন আমাকে দিয়ে একমাস ৭/৬/২৪ আগের তারিখ দিয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার রিজাইন পত্র লিখিয়ে নেন তারা। এ ব্যাপারে প্রজেক্ট সুপারভাইজার লিটন আরিন্দা বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলে আমি জহির ভাই আওতাধীন চাকরি করি তার নির্দেশ আমার মানতে হয় তিনি যেভাবে বলছে আমি সেভাবে রিজাইন রেখেছি আমি শুধু হুকুম পালন করেছি।
এবিষয় মাসুমার স্বামী বলেন,আমার স্ত্রীর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনে সাথে সাথে ম্যানেজারের সাথে কথা বলি তখন তিনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখে এবং অস্বীকার করে।
পরে রিজাইইন এপ্রুভ হওয়ার পর বলেন আমি জানার পরে ততক্ষণ আমার স্ত্রী ভয়ে বাবার বাড়ি চলে যায় আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি। এবং প্রজেক্ট জহিরের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের কথাও বলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়,চরকাজল কারিতাস এনজিও নিয়োগ থেকে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান্ত তহবিলে হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। প্রজেক্ট ম্যানেজার জহির,হাত করে নিয়েয়েছে এলাকার কিছু অসাধু লোক।যার কারণে ছোট একটু শালিশির মত হয়।
সেখানে সত্যকে ধামাচাপা দিয়ে মিথ্যাকে জয় করিয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে বোকার মত উঠে আসতে হয়। সূত্রঃতারা বুঝতে পারেনি যে পিছনের ৭ তারিখের এই দিনটি ছিলো শুক্রবার।
এখানেই প্রশ্ন জাগে বন্ধের দিন কিভাবে চাকরির রিজাইন লেটার রিসিভ করে কারিতাস অফিস। এবিষয় কারিতাসের ঢাকা সেন্টাল অফিসের কথা হয় দায়িত্ব পালন কর্মকর্তার সাথে,তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি বরিশাল অঞ্চল অফিসে পাঠানো হয়েছে।
চরকাজল প্রজেক্ট ম্যানেজারের সাথে এব্যাপার মুঠোফোনে জানাতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে চায়ের দাওয়াত দিন। বরিশাল আঞ্চলিক অফিসে ফোন দিলে মুঠোফোনটি রিসিভ হয়নি। বিস্তারিত থাকছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।